করোনার থাবা নির্দয়ভাবে লাগছে অর্থনীতিতে। প্রবৃদ্ধির সব নিয়ামকই দুরবস্থায়। এমনকি, আভাস নেই সহজ সমাধানের। বহু আন্তর্জাতিক সংস্থাও দুশ্চিন্তায়, বাংলাদেশ এবং পুরো বিশ্বের আর্থিক কর্মকাণ্ড নিয়ে। এমন অবস্থায়, অর্থনীতিবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা, ব্যবসা পরিবেশের উন্নয়ন এবং সময়োপযোগী নীতি সহায়তার।
কোলাহলে ভরা চিরচেনা ঢাকার চেহারা পাল্টে পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে এক শহরে। এই নগর হয়তো এখন সুযোগ দিচ্ছে শুদ্ধ বায়ু সেবনের; নির্বিঘ্নে খানিকটা পথ চলার। কিন্তু, কে চায় এই ঢাকা? কারণ, সবকিছুকে থেমে গিয়ে, পুরো দেশটাই যে পড়তে যাচ্ছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে এরই মধ্যে দেশে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে গেছেন কোটি দুয়েক দিনমজুর। থেমে গেছে কারখানার চাকা। ফলে ছোট হয়ে আসছে রপ্তানির অঙ্ক। দীর্ঘদিন ধরে সজীব থাকা প্রবাসী আয়েও লাগছে বড় ধাক্কা। অর্থাৎ, টানা এক দশক ধরে পৌনে সাত শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধির সব নিয়ামকই এখন দুর্দিনে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সহজ সমাধান কোথায়?
অর্থনীতিকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন দেশের ভাবনা এখন মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি-সহায়তা নিয়ে। বাংলাদেশও উদ্যোগ নিয়েছে কম-বেশি। কিন্তু, সেই সক্ষমতাই বা কতোটুকু? আন্তর্জাতিক বহু সংস্থার প্রণোদনা তহবিল থেকে সহায়তা পাওয়ার সুযোগ থাকলেও, সেখানেও দরকার দর কষাকষির সক্ষমতা। এমন অবস্থায়, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, উদ্যোক্তাদের সুরক্ষাসহ অর্থনীতির চাঞ্চল্য ফেরাতে উপযুক্ত উদ্যোগ নেয়ার।
করোনায় আর্থিক ঝুঁকি মোকাবেলায় এরই মধ্যে বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।