দেশে করোনাভাইরাসে(কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে লকডাউন করা জেলার সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই লকডাউনের আওতায় আসছে নতুন নতুন এলাকা। নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলছে লকডাউন। বুধবার বিকেলে নতুন করে কক্সবাজারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াও কোথাও কোথাও স্থানীয়দের উদ্যোগে লকডাউন করা হচ্ছে পাড়া মহল্লা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
১৯ মার্চ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে প্রথম লকডাউন ঘোষণা হয়। এরপর লকডাউন করা হয় জেলার আরো কিছু এলাকা। লকডাউন করা হয়েছে রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও নেত্রকোণা জেলা।
মঙ্গলবার গোটা নারায়ণগঞ্জকে লকডাউন ঘোষণা করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর। এরপর থেকেই লকডাউন কার্যকরে জোর তৎপরতা চালায় স্থানীয় প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছেন সেনাবাহিনী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
রাজশাহীতে লকডাউনের ২য় দিনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলায় নজরদারি করছে জেলা প্রশাসনের ২৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
টাঙ্গাইলে মঙ্গলবার থেকে চলছে লকডাউন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশকে সহায়তা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং।
নেত্রকোণায় কেউ করোনা শনাক্ত না হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আশপাশের সব জেলার সাথে যোগাযোগ।
শেরপুরেও স্থানীয়দের উদ্যোগে পাড়া মহল্লায় লকডাউন ঘোষণা করে অলিগলির সব সড়ক বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। বন্ধ করা হচ্ছে অটোরিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল। এতে সর্বাত্মক সহায়তা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, বুধবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মাহসড়ক ছাড়া নরসিংদী জেলাকে অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় ছোট ছোট গ্রাম ও এলাকা নিজেদের উদ্যোগে লকডাউন করেছেন স্থানীয়রা।