এন্টাপ্রেনার বাংলাদেশ: ০৮ জুন বিকেল ৩টায় জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় রুরাল ই-কমার্স নিয়ে বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও ই-কমার্স এ্যায়সোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর যৌথ সেমিনার। প্রান্তিক পর্যায়ে কিভাবে ই-কমার্স সেবা কে নেয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মোঃ আব্দুর রহিম খান, যুগ্ন সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সমন্বয়ক বিজেনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি)। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব আমিনুল ইসলাম, উপ-সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডেপুটি কোর্ডিনেটর, বিপিসি ।
প্রধান অতিথি জনাব মোঃ আব্দুর রহিম খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিপিসি ও ই-ক্যাব একসাথে বাংলাদেশের ই-কমার্স উন্নয়নে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। ই-কমার্স পরিচালনার জন্য একটা গাইড প্রক্রিয়াধীন আছে যা অচিরেই বাজারে আসবে। তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স পরিচালনার জন্য একটি আইন এর দরকার আছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনার নির্বাচনী মেনিফেস্টো তে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” এর কথা বলেছিলেন তা বাস্তবায়ন করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন ও ই-ক্যাব যে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। উঁচ্যাটেড এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বময় যে উন্নয়ন এর কথা বলা হয়েছে সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ অনেক খানি এগিয়ে এসেছে যেখানে ই-কমার্স এর অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। যেসকল বাধা এখনো বিদ্যমান সেগুলাও নির্ণয় করা করা হয়েছে এবং তার জন্য যে কার্যপ্রণালী লাগবে সেটাও অচিরেই জানিয়ে দেয়া হবে।
বিপিসি উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করে থাকে। তিনি আশা করেন বিপিসি ও ই-ক্যাব এমন কিছু উদ্যোগ হাতে নিবে যেখানে ভালো মানের উদ্যোক্তা তৈরী হবে যেখানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষিত হবে এবং নির্দিষ্ট কর্মপ্রকল্পনা থাকবে। প্রান্তিক পর্যায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে প্রধান অতিথি বলেন, ই -ক্যাব যদি একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করে যেখান থেকে প্রান্তিক পর্যায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি কি করা লাগবে তা যাচাই করতে চায় তাহলে বিপিসি সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব আমিনুল ইসলাম বলেন, ই-কমার্স শহরের লোকের কাছে জনপ্রিয় হলেও গ্রামের লোকদের কাছে এখনো জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-কমার্স এর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তিনি আশা করেন এর মাদ্ধমে ই-কমার্স সারা বাংলাদেশ এ ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের উৎপাদনকারী ও ক্রেতার ভিতর একটি সম্পর্ক স্থাপন হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, জনাব রেজাউনুল হক জামি, হেড অফ ই-কমার্স, এটুআই । তিনি সার্বিক রুরাল ই-কমার্সের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বিপিসি ও ই-ক্যাব এর এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানান। সবাইকে উপস্থিত হবার জন্য ধন্যবাদজ্ঞাপন করে উনার উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন।
মিঃ জুনায়েদ আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান, রুরাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটি, ই-ক্যাব বলেন, “রুরাল ই-কমার্স উন্নয়নের অন্যতম উপাদান হলো এই ই-কমার্স বিষয়ে শিক্ষা। ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাব এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করেছে কিন্তু আমি এই প্রশিক্ষণ আরো বাড়াতে হবে এবং ইন্ডাস্ট্রিতে যে দক্ষতা দরকার সে অনুযায়ী মানবসম্পদ তৈরী করতে হবে।” এছাড়াও ই-কমার্স এর প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও তিনি আলোচনা করেন। তিনি মনে করেন, সরকারি পর্যায় আরও প্রচার বাড়ানো প্রয়োজন রয়েছে।
জনাব ইব্রাহিম খলিল, চেয়ারম্যান, রুরাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটি, ই-ক্যাব বলেন, ই-কমার্স এর একটি বড় সমস্যা হলো পণ্য সরবারহ আর যেহেতু প্রান্তিক পর্যায়ে যেহেতু পচনশীল পণ্য বেশি থাকে তাই প্রান্তিক পর্যায়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই বিষয় খুব ভালো ভাবে নজর দিতে হবে।
ডা. মোঃ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, যুগ্ম পরিচালক, বার্ড, কুমিল্লা তার বক্তব্যে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প এর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন ই-কমার্স যেহেতু একটি ভালো মাধ্যম পণ্য বেচা কেনা করার জন্য এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে যেহেতু ১৩০০০ উদ্দ্যোক্তা রয়েছে তাই ই-কমার্স মাধ্যমটি এই প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের অনেক কাজে আসবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব জাহিদুজ্জামান সাইদ, ভাইস চেয়ারম্যান, রুরাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটি, ই-ক্যাব।