আমরা অনেক সফল প্রেমের সফর দেখেছি, প্রিয়জনকে আপন করে পেতে কতই না বন্ধুর পথ পারি দিয়েছেন তারা। কিন্তু এটা কি শুনেছেন কেউ হৃদয় দিয়ে কিডনির ঋণ শোধ করে?
গল্প নয় সত্যিই এমনটিই ঘটেছে আমেরিকার লুইসভিলে শহরের ড্যানি রবিনসন ও অ্যাসলে ম্যাকেন্ট্রির৷
মায়ের কাছে অ্যাসলে জানতে পারেন ড্যানি রবিনসন নামের এক ব্যক্তির বেঁচে থাকার জন্য একটি কিডনির প্রয়োজন৷ অ্যাসলের মা কথায় কথায় বলেছিলেন, তার নিজের শরীর ভালো থাকলে, তিনি ওই যুবককে কিডনি দিতেন৷
তখনই ওই অপরিচিত তরুণের জীবন বাঁচাতে কিডনি দেওয়ার কথা মাথায় আসে অ্যাসলের।
যেই ভাবা সেই কাজ, প্রথমে নিজের পরিচয় না দিয়েই ডাক্তারি পরীক্ষা করান অ্যাসল। যখন জানতে পারেন, তার কিডনি রবিনসনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যাবে, তখনই রবিনসনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি৷
কিডনি সফলভাবেই প্রতিস্থাপন হয়েছিল৷ তবে এই গল্প শেষ হয়নি এখানেই। নতুন কিডনি শরীরে নিয়ে নতুন জীবন পেয়ে অ্যাসলকে ভালোবেসে ফেলেন রবিনসন। অ্যাসলও যেন অপেক্ষায় ছিলেন প্রিয় মানুষের কাছে ভালোবাসার কথা শুনতে। তাই তো সঙ্গে সঙ্গে রবিনসনের প্রস্তাবে সাড়া দেন অ্যাসল।
সংসার করছেন, তাদের ঘর আলো করে এসেছে সন্তান। তারপরও তাদের ভালোবাসা আজও রয়েছে আগের মতোই।