তিনি জয় যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান। এন্টারপ্রেনার বাংলাদেশের ম্যাগাজিনের প্রধান উপদেষ্টা এবং পৃষ্টপোষক। একজন মমতাময়ী মা, প্রিয়তমা স্ত্রী, একজন নারী, একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।
নারী আসলে ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবি
আসলেই
সেও সৃষ্টি করে
কিম্বা ঈশ্বর তাকে দিয়ে
পৃথিবীর আবাদ বাড়ায়।
হেলেনা জাহাঙ্গীর, একটি নাম।একটি ব্রান্ড। নিজেই একটি বিশাল ইনিস্টিটিউট। তিনি স্বপ্ন বোনার কারিগর। স্বপ্নের পথে হেটে বাস্তব ছোয়ার অপরিসীম সাহস রাখেন তিনি।
তখন পুতুল খেলার বয়স, রান্নাবাটি খেলায় যার দিন পার হবার কথা। সেই বয়সে বিয়ের পিড়িতে।বেনারসি শাড়ীতে বৌ সেজে স্বামীগৃহে প্রত্যাবর্তন।
কিন্তু আর দশজনের মতন থেমে থাকেনি তার রথযাত্রা। তিনিতো সৃষ্টিতে সমর্পিত, তারতো থামা চলবে না।
অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসায় পা রাখা সেই মানুষটি এখন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সফল নারী উদ্যোক্তা। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে তিনি একজন আলোচিত মুখ।স্বনামধন্য নিট কনসার্ন গ্রুপের চারটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি।
হয়েছেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক এবং রাষ্ট্র ঘোষিত একজন সি আই পি।
সি আই পি হতে হলে তাকে সর্বচ্চ করদাতা হতে হয়েছে এবং ঋন খেলাপি নন এটা স্পষ্ট।
নীতিমালা অনুযায়ী রাষ্ট্র তাকে ৬ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এগুলো হচ্ছে-
সচিবালয়ে ঢুকতে প্রবেশ পাস ও গাড়ির স্টিকার।
জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ।
বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনের আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার।
ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশনইস্যু করবে।
সিআইপি তার স্ত্রী/ স্বামী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
তিনি ব্যবাসী কিন্তু মনে আর মননে ব্যবসায়ী নন, একজন অন্য মানুষ। ছোট থেকে লালন করে আসা স্বপ্ন, দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।তিনি তার আকাংক্ষার পথে এগুতে থাকলেন। সমাজসেবায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি ইতোমধ্যেই পেয়েছেন সিস্টার হেলেন উপাধি।
২০১৪ সাল।প্রতিষ্ঠা করলেন জয়াত্রা ফাউন্ডেশ্ন এবং তার কন্ঠে ধ্বনিত হলো, ‘আমাদের মিশন পীড়িত মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকা’ এই সংগঠনটির মধ্যদিয়ে তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার দরিদ্র অসহায় মানুষের সাথে কাজ করছেন তাদের কল্যাণে।
‘গোধুলী আলো’ নামে কুমিল্লাতে একটি প্রকল্প চালু আছে। এখান থেকে ৬০ জন মহিলা-পুরুষকে বয়স্ক ভাতা দেয়া হচ্ছে।
তিনি পারিবারিক জীবনেও সুখি একজন মানুষ। ঘরের প্রতি অপার মমত্ববোধ, কাজ শেষতো ঘরের পথে যাত্রা।
ছেলেটি আর কন্যা দুটি যে তারই অপেক্ষায়। ব্যবসায়ী বধু তখন মমতাময়ী মা।
তিনি উইমেন এমপাওয়ারমেন্টের ওপর কাজ করছেন। পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে কাজ শুরু করার অভিপ্রায় রাখেন তিনি।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ইনভলভ থাকতে চান।
তিনি বললেন,আমাদের যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প আছে তা অ্যানালগ, হাতে কাজ করছে। এখন ইচ্ছা করলে ডিজিটাল মেশিনে তা করা যায়। এগুলো যদি আমরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামে দিতে পারি তাহলে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসার প্রবণতা কমে যাবে। তাদের আমি প্রশিক্ষণ দেব তারা যেন শহরমুখী না হয়। তাদের এটাই শেখানো হবে, ‘তোমরা গ্রামে থেকেই উন্নয়ন করো।
তিনি গার্মেন্টসের মেয়েদের নিয়েও ভাবেন, তাদের জন্যে কিছু একটা করার আকাঙ্ক্ষা অপরিসীম।
কথা বলতে বলতে কখন যে বিকেল গড়িয়ে গেছে,বুঝতে পারিনি।অপার ভালো লাগার কিছু সময় সজতনে তোলা থাক মনের খুব গহীনে,একান্ত আপনার ভাবনা হয়ে।