“স্থানীয় উদ্যোক্তারা গতানুগতিক ব্যবসার ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে ই-কমার্স বিজনেসে পরিবর্তিত হচ্ছেন।লেনদেনের মাধ্যমে এসেছে ডিজিটাল পদ্ধতি। আর তাদের পণ্য ডেলিভারি’তে নিচ্ছেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা।”
ই-কমার্সের শক্তিতে এবার গ্রাম থেকে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার মিশন- ডিজিটাল কমার্স প্রকল্পের অধীনে এলো শরীয়তপুর। গ্রামীণ তাঁতকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের সাঁটুরিয়াকে সফলভাবে ‘ডিজিটাল পল্লী’ বাস্তবায়নের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) নতুন করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর ২০২২) মতিঝিলের বিপিসি সম্মেলন কেন্দ্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাবের মধ্যে এ নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিপিসি কো-অর্ডিনেটর মোঃ আবদুর রহিম খান এবং ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অন্যান্যের মধ্যে ই-ক্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান, ডিজিটাল পল্লী টিমের পক্ষে ইব্রাহিম খলিল, জাহিদুজ্জামান সাঈদ, মীর শাহেদ আলী ও মরিয়ম সুলতানা এবং আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফয়সাল খান উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, শরীয়তপুরের সম্ভাবনাময়ী গ্রাম নির্বাচন করে আগামী ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের দ্বিতীয় ডিজিটাল পল্লী বাস্তবায়ন করবে ডিজিটাল পল্লী টিম। এর মাধ্যমে ই-কমার্সের শক্তিতে গ্রামীণ অর্থনীতিকে বিশ্ববাণিজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করার পথ উন্মুক্ত হবে।
উল্লেখ্য রাজধানীর কাছেই মানিগঞ্জের সাটুরিয়ায় দেশের প্রথম ডিজিটাল পল্লী বা ডিজিটাল কমার্স ভিলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ ইতিমধ্যে পাইলোটিং হয়েছে।
প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে বৈশ্বিক সংশ্লিষ্টতাকে আরো দৃঢ় করতে এই গ্রামটিকে মডেল তৈরির এই উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল। আর এই উদ্যোগ যৌথভাবে বাস্তাবায়ন করছে ই ক্যাব।
উদ্যোগ বাস্তাবায়নে বিগত তিন মাসে অন্তত ২০০ জন তাঁতী/ উদ্যোক্তাকে ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করার জন্য স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে এই পাইলট কর্মসূচিতে।
ইন্টারনেট, লজিস্টিক, ডিজিটাল পেমেন্ট, দক্ষতা উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান, ক্রসবর্ডার ইকোসিস্টেম তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মডেল ভিলেজ। আর এর মাধ্যমে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের অর্থনীতির মূল ধারায় সংযুক্ত করে দেশের সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতেই কাজ করবে এই প্রকল্পটি।