নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর। ১৫ আগস্ট শনিবার, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তথ্যটি নিশ্চিত করেন মুর্তজা বশীরের পারিবারিক বন্ধু আলোকচিত্রী মোহাম্মদ আসাদ।
প্রথমদিকে ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর। এরপর তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
আসাদ বলেন, মুর্তজা বশীর দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি।
৮৮ বছর বয়সী এ চিত্রশিল্পীকে এর আগেও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে মুর্তজা বশীর জন্ম নেন ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে বিমূর্ত বাস্তবতার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ মুর্তজা বশীরের ‘দেয়াল’, ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘পাখা’ ছাড়াও বেশকিছু উল্লেখযোগ্য চিত্রমালা রয়েছে। রয়েছে ‘রক্তাক্ত ২১শে’ শিরোনামে ভাষা আন্দোলন নিয়ে ‘লিনোকাট’ মাধ্যমে একটি চিত্রকর্ম। এছাড়াও পেইন্টিং, ম্যুরাল, ছাপচিত্রসহ চিত্রকলার বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেছেন মুর্তজা বশীর।
‘টাটকার রক্তের ক্ষীণরেখা’ শিরোনামে একটি বইতে নিজের লেখা কবিতার ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছেন মুর্তজা বশীর। ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা উপন্যাস ‘আলট্রামেরিন’। মুদ্রা ও শিলালিপি নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন।
চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান মুর্তজা বশীর। একই কাজে ২০১৯ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার পান।