চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
জনপ্রিয় নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তার স্বপ্নসারথি হিসেবে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে প্রস্তুত হচ্ছেন, এবং স্মার্ট বাংলাদেশের মূল চারটি দক্ষতা ভিত্তিক সেক্টর তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন, যা তার নির্বাচনী অঙ্গীকার হিসেবে ইতিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছেন।
‘যে স্বপ্ন একা দেখা হয়, সেটা স্বপ্নই থেকে যায়; যে স্বপ্ন একত্রে দেখা হয়, সেটাই বাস্তবে রূপ নেয়।’ দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন, তবে একা নয়, একত্রে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে স্বতন্ত্র নির্বাচনের সুযোগ গ্রহনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একজন সৈনিক হিসেবে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে প্রস্তুত তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশের হাত ধরে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা:
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এই স্মার্ট বাংলাদেশ-এর ৪টি মূল ভিত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো:- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি।
স্মার্ট সিটিজেন:
১০০% ডিজিটাল অ্যাক্সেস, উদ্ভাবন, সমানুভূতি এবং সবার সাথে সহযোগিতার মনোভাব।
স্মার্ট বাংলাদেশে এর সকল নাগরিকবৃন্দও হবে স্মার্ট। যেখানে প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ইউনিভার্সাল ডিজিটাল আইডি থাকবে। নাগরিকরা হবেন ডিজিটালি লিটারেট, ফলে তারা সকল ধরণের ডিভাইস ব্যবহারে সক্ষম হবেন এবং যেকোন জায়গায়, যেকোন সময়ে শতভাগ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
স্মার্ট ইকোনমি:
স্মার্ট ইকোনমির মাধ্যমে শতভাগ অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি কমপক্ষে ৬০% অর্থনৈতিক স্বাক্ষরতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি ক্যাশলেস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেইসাথে ২০৪১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ২০০০০ স্টার্টআপ তৈরি করার লক্ষ্যে সিস্টেমাইজেশন, স্ট্রাকচারালাইজেশন ও স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের মাধ্যমে একটি স্মার্ট ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে।
স্মার্ট গভর্নমেন্ট:
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সকল সরকারি সেবা প্রদানের ব্যবস্থা।
স্মার্ট চুয়াডাঙ্গার
স্মার্ট প্রশাসন, স্মার্ট হেল্থকেয়ার, ব্লেন্ডেড লার্নিং, স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট বিচারিক কার্যক্রম, স্মার্ট সোস্যাল সেফটি নেট, স্মার্ট পেমেন্টে সিস্টেম সকল কিছুই হবে স্মার্ট।
স্মার্ট সোসাইটি:
একটি টেকসই পরিবেশে বেড়ে ওঠা সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ,চুয়াডাঙ্গার স্মার্ট সোসাইটি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। যেখানে সকলের জন্য উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনমান নিশ্চিত করা হবে। গড়ে তোলা হবে একটি টেকসই ও স্মার্ট পরিবেশ। সোলার এনার্জি, গ্রিন এনার্জির মতো উচ্চতর প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্লিন ও পরিবেশবান্ধব এনার্জির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
এই সব প্রত্যয় নিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতিকে পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগের বিজয় নিশ্চিত করতেই চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার গ্রামে গ্রামে নিরন্তর ছুটে চলা তার। তিনি বলেন, তার নিজের জন্য নয়, তিনি ছুটে চলেছেন তার চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য, দেশের ও পরোক্ষভাবে নৌকার জন্য । সবসময় শেখ হাসিনার সৈনিক হয়ে তার এই ছুটে চলা অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় অনেকের অভিব্যক্তি, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষের সুখ আর দু:খের সাথী। জনপ্রিয়তা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা এবং রাজনৈতিক রণকৌশল বিবেচনায় আগামীর চুয়াডাঙ্গা নেতৃত্ব তিনিই দিবে, এমনটি সবার প্রত্যাশা।
সরেজমিনে জানা গেছে, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি শক্তিশালী দুর্গ গড়ে তুলেছেন তিনি। মান-অভিমানে ঘরে চুপিসারে বসে থাকা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, তাদের বুঝিয়ে এক কাতারে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এভাবে এলাকার নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে তিনি জনসমর্থন সৃষ্টি করেছেন।
পারস্পরিক বিভেদ ভুলে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দিয়ে, তার বিজয় সুনিশ্চিত করতে চান।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ভালবাসার নেপথ্যের মূল কারণটি হলো যে তিনি কর্মীবান্ধব। পরোপকারী, গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থেকে সবার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গার জনগোষ্ঠীর সেবার প্রত্যয় নিয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন তারাদেবী ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুটি এম্ব্যুলেন্স চব্বিশ ঘণ্টা সেবা দিয়ে আসছে। গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি ও মিড-ডে মিল এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন।
করোনা মহামারির সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাধ্যমে ৭৫ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। অসংখ্য গরিব মানুষকে নগদ অর্থ ও চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও তিনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সেক্টরে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহম্মেদ বাবলু বলেন, ‘বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিবার-তন্ত্র কায়েম করেছেন। সেই জায়গা থেকে আমাদের নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ব্যক্তি-উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার মানুষের কল্যাণে ১৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই তাকে আমরা নৌকার মাঝি হিসেবে চাই।’
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নিঃসন্দেহে একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে তিনি পাশে থাকেন। দিলীপ কুমার এমপি হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত এই অঞ্চলে আরও শক্তিশালী হবে।’
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চাওয়া নৌকার হাল ধরবেন দিলীপ কুমার। আমরা তাকেই চাই। যারা পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি করে তাদের চাই না।’
হাজার হাজার যুব মহিলা লীগ ও মহিলা লীগ, চুয়াডাঙ্গা শাখার নেতৃবৃন্দ পরিবর্তনের জোয়ার-এ যোগ দিয়েছে ইতিমধ্যে।পরিবর্তনের লক্ষ্যে এই প্রথম আলমডাঙ্গার আওয়ামী লীগের তিন প্রবীণ নেতার একাত্মতা ঘোষনা। আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আইয়ুব হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ জনাব শেখ সামসুল আবেদিন খোকন এবং আলমডাঙ্গা পৌরসভা মেয়র জনাব মোঃ হাসান কাদির গনু মিয়া - তাদের প্রচেষ্টায় পরিবর্তনের মাধ্যমে সূচনা হবে নতুন যুগের। গণমানুষের সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি সবাইকে নিয়ে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে চান।
এ পরিবর্তনের জোয়ারে যোগ দিতে আরো সামিল হয়েছে জনাব খন্দকার সালমুন আহম্মদ ডন,ভাইস চেয়ারম্যান আলমডাঙ্গা পৌরসভা এবং সভাপতি , বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখা।
শ্রী নয়ন সরকার , সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আলমডাঙ্গা পৌরসভা। আলমডাঙ্গা পৌর শাখা।
কাজী চন্দন , সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ , আলমডাঙ্গা পৌরসভা।
জনাব মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, নির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি । সহ আওয়ামী লীগ ,যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে দিলীপ কুমারের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা তরতরিয়ে বাড়ছে। এলাকার সাধারণ ভোটারদের দাবি, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তিনি বিপুল ভোট পেয়ে জয়ী হবেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, এ আসনে টানা তিন বার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী সংসদ সদস্যেরও নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে। কিন্তু তার কাজে অসন্তুষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর সংখ্যাও কম নয়। তাদের ভোট নীরবে দিলীপ কুমারের বাক্সে যেতে পারে বলে জানা গেছে। সাধারণ ভোটারদের দাবি, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার দখলে যাবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের ঘরোয়া আলোচনায় ঈগল প্রতীকের জয়ের সম্ভাবনার বিষয়টি উঠে এসেছে।।
আরো জানা গেছে, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা একজন হেভিওয়েট স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে সকলের মুখে মুখে তার নাম। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের একজন শীর্ষ ও ব্যবসায়ী নেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তার চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় রয়েছে নিজস্ব কর্মী বাহিনী। আর দিলীপ কুমার আগরওয়ালার আছে নিজস্ব ভোট ব্যাংক ও শক্তিশালী কর্মী বাহিনী। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের সমর্থনসহ থাকছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিশাল ভোট ব্যাংক।